আপনি কি একজন ড্রোন লাভার? আপনার কি ড্রোন ফটোগ্রাফিতে ইন্টারেস্ট আছে কিন্তু একটা ভালো মানের ড্রোন কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন? ভাবুন তো আপনার ব্যবহৃত হাতের স্মার্টফোনে যদি বিল্ট ইন ড্রোন থাকে তাহলে কেমন হবে? এটাও কিন্তু সম্ভব।
Vivo স্মার্টফোন জগতে নিয়ে এসেছে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন, ২০২২ সালে ভিভো রিলিজ করেছে Vivo ড্রোন ক্যামেরা ফোন, যেখানে রয়েছে বিল্ট ইন ড্রোন ক্যামেরা যার মাধ্যমে আপনি আপনার স্মার্ট ফোনে নিতে পারবেন ড্রোন শট।
তাহলে চলুন আজকের আর্টিকেলে জেনে নেয়া যাক!
- এই মোবাইল ফোনের ডিজাইন।
- কনফিগারেশন।
- এবং প্রাইজ।
তো চলুন প্রথমে জেনে নেয়া যাক ডিসপ্লে সম্পর্কে।
Vivo ড্রোন ক্যামেরা ফোনে থাকছে 6.5 ইঞ্চির একটি ফুল এইচডি প্লাস রেজুলেশনের থ্রিডি অ্যামুলেট ডিসপ্লে।
এল ডিসপ্লে তে থাকছে ১০ এইচডিআর আরো রয়েছে গরিলা গ্লাস সাপোর্ট এবং অন স্কিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার। এর সঙ্গে রয়েছে ১২০hz হাই স্মুথ রিফ্রেশ রেট যা আপনাকে একটি দারুণ এক্সপেরিয়েন্স দিবে।
এবার আসি মোবাইলটির সবচাইতে আকর্ষণীয় পার্ট এই ফোনের ক্যামেরায়।
মোবাইলটিতে থাকছে ২০০ মেগাপিক্সেলের পপ-আপ ফ্লাই ক্যামেরা, শুনলে অবাক হয়ে যাবেন যে এই ফোনের ক্যামেরা স্মার্টফোন থেকে বেরিয়ে আকাশে উড়ে যেতে পারবে। এবং মনিটরিং এর মাধ্যমে আপনি নিজের ইচ্ছামত এই ক্যামেরা দিয়ে ছবি কিংবা ভিডিও ক্যাপচার করতে পারবেন এটি কিন্তু একটি নেক্সট লেভেল ফিচার।
এছাড়াও স্মার্টফোনের পাশাপাশি এর ড্রোন ক্যামেরার আলাদা ব্যাটারি ও থাকবে, এবং আপনি চাইলে যে কোন সময় এটি আলাদাভাবে চার্জও করে নিতে পারবেন।
তবে এটিতে যে শুধু ড্রোন ক্যামেরা থাকবে তা কিন্তু নয়, বাকি সব স্মার্ট ফোনের মত এখানেও থাকতে প্রাইমারি ক্যামেরা সেট আপ। আপনি যদি ভেবে থাকেন রম ক্যামেরার জন্য কোন কম্প্রোমাইজ করেছে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন।
৬৪ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট এবং ব্যাক ক্যামেরা হিসেবে থাকছে ৩২ মেগাপিক্সেল, ১৬ মেগাপিক্সেল এবং ৫ মেগাপিক্সেলের তিনটি ক্যামেরা। এই ক্যামেরা গুলোও কিন্তু কম কিছু নয় যা বর্তমান বাজারে সচরাচর স্মার্টফোনের ক্যামেরার চেয়ে অনেক আপডেটেড।
শুধু যে ফির্চাস আছে তা কিন্তু নয় এই ফোনের পারফর্মেন্স ও হবে অসাধারণ।
এখানে কল কম স্ন্যাপড্রাগন ৮৯৮ ! 5G এর একটি লেটেস্ট পাওয়ারফুল চিপ! সেট করা থাকবে। যার ফলে আপনি মোবাইলে খুব সহজেই গেমিং থেকে শুরু করে সব ধরনের হেব্বি এক্টিভিটিস খুব ইস্মুতলি করতে পারবেন।
কুলিং সিস্টেম!
এছাড়াও এই ফোনটিতে রয়েছে বিল্ট ইনকুলিং সিস্টেম! তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যবহার করো আপনি পাবেন না খুব বেশি হিটিং ইস্যু।
ব্যাটারি পারফরমেন্স অ্যান্ড চার্জিং!
এবার যদি বলি ব্যাটারি পারফরমেন্সের কথা সেদিক দিয়েও ভিভো কোম্পানি ছাড়িয়ে গিয়েছে সব মাত্রা কারণ এই ডিভাইসে থাকবে ৬৯০০ মিলি এম্পিয়ার বড় একটি ব্যাটারি।
আপনি যদি এই ইউজড ব্যাটারির চার্জিং টাইম নিয়ে ভেবে থাকেন! তার সমাধানও করেছে vivo চার্জিং এর জন্য এখানে থাকছে 65Hz ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট! যেটির সাহায্যে মাত্র ১ ঘন্টায় ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ করে নেওয়া যাবে।
চার্জিং এর জন্য এই ফোনে থাকছে লেটেস্ট টাইপ সি পোর্ট! আর মজার ব্যাপার হল এতে আপনি পেয়ে যাচ্ছেন রিভার্স চার্জিং সুবিধা। রিভার্স চার্জিং হলো এমন একটা ফিচারস যার মাধ্যমে আপনি পাওয়ার ব্যাংক এর মতো আপনার মোবাইল ব্যবহার করে অন্য মোবাইল ফোন চার্জ করতে পারবেন।
স্পিকার!
স্পিকার এর ক্ষেত্রেও এই হ্যান্ডসেট এগিয়ে আছে, এতে থাকছে ডুয়েল স্পিকার একটি ফুললি আপডেটেড স্মার্টফোনে যা যা দরকার এর সব কিছুই নিয়ে এসেছে ভিভো।
এই ফোনের দামের এর ব্যাপারে জেনে নিয়ে চলুন!
এই স্মার্টফোনের প্রাইস ও কিন্তু আকাশছোঁয়া নয় মাত্র ১১৩৫ ইউএস ডলার খরচ করে আপনি হাতে পেয়ে যাবেন ১২ গিগাবাইট র্যাম ২৫৬- ৫১২ ইন্টার্নাল স্টোরেজের বেস ভেরিয়েন্টি যা বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে ৯৯ হাজার ৫০০ টাকার মত আসে।
ভিভো এই ফোনটি রিলিজ করেছে ২০২২ সালের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে।
তাই আপনি যদি রিসেন্টলি একটি চমৎকার ফিচারস যুক্ত স্মার্টফোন কিনতে চান তাহলে এই ডিভাইসটি হয়ে যেতে পারে আপনার জন্য রাইট চয়েজ।
0 মন্তব্যসমূহ